বকেয়া বেতন ও কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে আশুলিয়ায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষে মারা গেছেন এক শ্রমিক। এঘটনায় আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা একজোট হয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত শ্রমিকের নাম কাউসার।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অপর দুই শ্রমিকের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- রাসেল ও নয়ন। আহত সবাই আশুলিয়ায় ন্যাচারাল গার্মেন্ট-এর শ্রমিক বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে গোটা শিল্পাঞ্চলে।
এদিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এতে সড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। ভোগান্তির কবলে পড়েন যাত্রীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শিল্প পুলিশ আশুলিয়া জোনের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকালে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল এলাকায় অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করে বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা। গত ২৮ আগস্ট থেকে আশুলিয়ার বুড়িবাজার এলাকার বার্ডস গ্রুপ বন্ধ ঘোষণা করেন মালিকপক্ষ। সোমবার শ্রমিকদের সকল পাওনাদি পরিশোধের কথা থাকলেও মালিকপক্ষ তা করেনি। এরই প্রতিবাদে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করলে যান চলাচল পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অবরোধের কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা বন্ধ থাকে সড়কের যান চলাচল।
এদিকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় সোমবার খোলা দেখা গেছে অধিকাংশ তৈরি পোশাক কারখানা। এর মধ্যে শ্রম আইনের ১৩(১) ধারায় ১১টি ও সাধারণ ছুটির কারণে ৭টিসহ মোট ১৮টি কারখানা বন্ধ রয়েছে।
শিল্প পুলিশ বলছে, যে কোন ধরনের সহিংসতা এড়াতে, শিল্পাঞ্চল ঘিরে রয়েছে যৌথবাহিনীর সমন্বয়ে পুলিশ, আর্ম পুলিশ, শিল্প পুলিশ, বিজিবি ও সেনা সদস্যদের তৎপরতা।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Matribhumir Khobor